ভেষজ প্রণালীভিত্তিক চিকিৎসা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী গুরুত্ব পাচ্ছে। এশিয়া ও আফ্রিকার বহু দেশে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এবং আধুনিকায়নের ফলে এটি এলোপ্যাথিক চিকিৎসার পাশাপাশি একটি কার্যকর বিকল্প ও পরিপূরক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, যেখানে রোগ নিরাময়ের পূর্বশর্ত হিসেবে সঠিক রোগ নির্ণয়ের গুরুত্ব বিশেষভাবে বিবেচিত। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গৌরবময় বিজয় দিবস ও এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার টিএমএসএস আইইএস সেক্টর পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টিএমএসএস ফিরোজা বেগম আয়ুর্বেদিক-ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুজাবাদ (দহপাড়া) শাজাহানপুর ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিজয় মেলার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন বগুড়া ডাঃ মোঃ খুরশীদ আলম।সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নার্সিং পরিদর্শক ড. মমতাজ বানু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিএমএসএস নির্বাহী পরামর্শক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মোহাম্মেদ খাইরুল ইসলাম, টিএমএসএস পরিচালক মোঃ মাহাবুবর রহমান, হামদর্দ ইউনানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বগুড়ার অধ্যক্ষ ডা. মো. খোরশেদ আলম, অধ্যক্ষ মোঃ শাহ জালাল, অধ্যক্ষ মুসতা-নূর-সুলতানা, অধ্যক্ষ ইঞ্জি: মো: ওবায়দুল্লাহ আল মাহমুদ, জয়েন্ট ডিরেক্টর মোঃ আলমগীর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সেক্টর প্রধান ড. নিগার সুলতানা।
দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদিক এবং এমবিবিএস চিকিৎসকগন বিনামূল্যে হাপানি, জন্ডিস, চর্ম ও যৌন রোগ, গাইনি, ডায়াবেটিস পরীক্ষার পাশাপাশি গাইনোকোলোজিসহ বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও নিরাপত্তাকর্মী, গৃহকর্মী, দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষজন চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
চিকিৎসা নিতে আসা সুজাবাদ এলাকার শহীদুল বলেন, এমন বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ পাওয়া আমাদের জন্য এক আশীর্বাদ। হাপানি, জন্ডিস ও চর্মজনিত সমস্যার চিকিৎসা এত সহজে পাওয়া সম্ভব হত না।
বিজয় মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য তথ্য কেন্দ্র, আয়ুর্বেদিক ঔষধ প্রদর্শনী, চিকিৎসা প্রদান স্টল, হ্যান্ডিক্রাফট স্টল, বিভিন্ন নামকরা ঔষধ কোম্পানির স্টল, ভেজষ গাছ, পিঠার স্টলসহ নানা আয়োজন করা হয়। এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে "আয়ু-দর্শন" নামে ম্যাগাজিন এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়া বিদায়ী ব্যাচকে স্মারক উপহার ও আন্তঃটেকনোলজি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীরা বাদ্যের তালে তালে সংগীত ও নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে। অনুষ্ঠানটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, অভিভাবকসহ কর্তৃপক্ষের এক আনন্দঘন মিলন মেলায় পরিণত হয়। এছাড়াও বেষ্ট পারফরমার শিক্ষক এবং কৃতি শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।



